ঢাকা বিভাগের গাজীপুর জেলার আওতাধীন টঙ্গী পূর্ব থানা, গাজীপুরের পূবাইল থানা, গাছা থানাসহ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ পেতে এখন গুনতে হয় ১৫০০-৩০০০/- টাকা এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের টাকা দিলেই এসআইদের কাছে মিলবে জামেলা ছাড়াই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। .
টাকা না দিলে তো হয়রানীর কোনো শেষ নেই।সরেজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহে আবেদন করেছিলেন এক ব্যক্তি তার ক্লিয়ারেন্স পেতে প্রায় ২০ দিনেরও বেশি লেগেছে পুলিশের কাছে জানতে কল করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার সাইফুল জানান, আপনি থানায় আসেন থানায় না আসলে কিছু বলা যাবে না। .
পরে থানায় গেলে সব কাগজ ঠিক থাকা সত্তেও গুনতে হয়েছে ২৫০০/- রাবেয়া নামে এক মহিলা জানান, আমার একটা কাজ ছিলো পূবাইল থানায় প্রথমে দিলাম ১০০০/- টাকা তিনি হাতেই নিতে চায় না পরে ১৫০০/- দেয়ার পর বললো ১ সপ্তাহ পরে এসে নিয়ে যাওয়া জন্য কল করে জানিয়ে দেয়া হবে। এদিখে গাছা থানার জাহিদ নামে এক পুলিশ কল দিয়ে থানায় নিয়ে ৩০০০/- দাবী করে পরে ২৮০০/- দিয়ে কাজ সম্পুর্ণ করে টাকা দেয়ার ৬ দিনের দিনেই সার্টিফিকেট হাতে পেলাম। .
এদিকে বলা আছে পুলিশের কোনো কার্যালয়ে বা থানায় যেতে হবে না। অনলাইনে আবেদন করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঘরে বসেই সনদটি পাওয়া যাবে। আর সনদে থাকবে কিউআর কোড, যা স্ক্যান করে সরাসরি পুলিশের ওয়েবসাইট থেকে ইস্যু হওয়া সনদের ডিজিটাল কপি দেখা যাবে। যার ফলে বিদেশি মিশনগুলো অনলাইনে খুব সহজেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ যাচাই করতে পারবে। জনগণের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। তাঁরা হয়রানির শিকার হবেন না। এতে পুলিশের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। জনগণের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। কোথায় এ জেন এক ভিন্ন তার কোনোটাই নেই বললেই চলে।.
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স মেন্যুতে ক্লিক করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সরকারি ফি পরিশোধের চালান স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আবেদনের জন্য আবেদনকারীর ব্যক্তিগতভাবে থানায় যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এরপর আবেদনকারী অনলাইনে তাঁর আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা নিয়মিত জানতে পারবেন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) স্বাক্ষর, পুলিশ সুপার বা পুলিশের উপকমিশনারের প্রতিস্বাক্ষর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যয়ন হওয়ার পর আবেদনকারী সশরীরে গিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় বা মহানগরের পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের ওয়ান স্টপ সার্ভিস কাউন্টার থেকে সনদ গ্রহণ করতে পারবেন। পাশাপাশি আবেদনকারী কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে চাইলে সেটি উল্লেখ করে কুরিয়ার সার্ভিসের ফি পরিশোধ করতে হবে।.
এই অনলাইন সনদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, এটিতে একটি কিউআর কোড প্রিন্ট করা থাকে। যেকোনো স্মার্টফোন থেকে কিউআর কোড স্ক্যানার অ্যাপ ব্যবহার করে কোডটি স্ক্যান করলে ইস্যু হওয়া সনদের একটি অনলাইন লিংক পাওয়া যাবে। লিংক থেকে একটি অবিকল ডিজিটাল কপি পাওয়া যাবে। ফলে এই সনদ জাল হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকবে না এবং যেকোনো বিদেশি মিশনে এটার খুব সহজেই পাওয়া যাবে।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: